বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতিকে জীবনের লক্ষে পৌঁছানোর প্রস্তুতি বলা চলে । প্রস্তুতি দূর্বল কিংবা যুদ্ধের হাতিয়ার ভোতা হলে তোমাদের চান্স পাওয়া কঠিন হবে।
আর আমার মতে বেসিক নলেজ, কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা ও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করা যায়। বেসিক নলেজ যা তোমরা আগে থেকে নিয়ে এসেছ।
কঠোর পরিশ্রম যা তোমাদের এই তিন মাস করতে হবে। সর্বশেষ হচ্ছে তোমার ভাগ্য। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি ভালো করার জন্য এই তিনটি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা
ব্যাকরণ অংশের জন্য ভাষা, বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ, শব্দ, কারক, সমাস, সন্ধি, বিভক্তি, বচন, বাক্য সংকোচন, বাগধারা, উপসর্গ, অনুসর্গ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। আগের বছরের প্রশ্নগুলো বাংলাতে রিপিটেশন হয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের আগের বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইংরেজি
Parts of speech, Article, Tense, Voice, Narration, Correction, Right form of verbs, Translation, Synonyms, Antonyms, Transformation of sentences, Joining sentence, Comprehension প্রভৃতি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে। অর্থাৎ গ্রামার ভালোভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি ইংরেজ কবি ও সাহিত্যিক, বিশেষ করে যাদের লেখা এইচএসসির সিলেবাসে রয়েছে তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম, লেখার বিষয়, উদ্ধৃতি ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ও মনে রাখতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞানঃ১। পদার্থবিজ্ঞানে গাণিতিক সমস্যার সাথে সাথে কিছু তাত্ত্বিক প্রশ্নও আসে। তবে গাণিতিক প্রশ্ন সংখ্যায় বেশি আসে বলে এই ভাগে আলাদা নজর দিতে হবে।২। গাণিতিক প্রশ্নের সমাধানের জন্য প্রতিটি সূত্র এমনভাবে পড়তে হবে, যাতে পরীক্ষার হলে আর চিন্তা করে বের করতে না হয়। কারণ সূত্র চিন্তা করে বের করার কোন সময় নাই।৩। পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ নেই। তাই পদার্থবিজ্ঞানের যে ক্যালকুলেশন গুলো আমরা সচারচর হাতে করতে অভ্যস্ত নই, এমন কিছু ক্যালকুলেশন হাতে করার প্র্যাকটিস করতে হবে।৪। প্রশ্নের গাণিতিক সমস্যা ভালোভাবে পড়ে বুঝতে হবে যে, কি বের করতে বলা হইছে। তখন সেটা বের করার সম্ভাব্য সূত্রগুলোর সাথে প্রদত্ত উপাত্তের রাশিগুলো মিলিয়ে সেই সঠিক সূত্রটা লিখে ফেলতে হবে। এরপর সূত্রের মধ্যে কোন রাশি অজানা থাকলে, সেগুলোও একই নিয়মে বের করতে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে করলে প্যাচ কম লাগবে।
রসায়নঃ১। রসায়নে গাণিতিক ও তাত্ত্বিক প্রশ্ন প্রায় সমানুপাতিক হারে আসে। গাণিতিক অংশে ভালো করার জন্য বিভিন্ন একক ও সংকেত ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। কারণ একক কিংবা সংকেত থেকেও অনেক প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে বের করা যায়।
২। তাত্ত্বিক অংশের জন্য যোজনী, বিক্রিয়া, ভর, তুল্য সংখ্যা, সংকেতসহ সব অধ্যায় মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নাম সহ বুঝে পড়তে হবে।
৩। রসায়নের ক্ষেত্রে ভুল উত্তর ও সঠিক উত্তরের মধ্যে পার্থক্য খুব কম থাকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে উত্তর করার সময়।
গণিতঃ১। ক্যালকুলেটর না থাকায় অনেকের গণিত করতে একটু সমস্যা হবে। এতে লাভও হয়েছে। কারণ জটিল গাণিতিক সমস্যা আসার সম্ভাবনাও কমে গেছে। অর্থাৎ মৌলিক ও টেকনিক্যাল অংকগুলো বেশি আসে।
২। আর সাধারণ নামতা ভুলে গেলে চলবে না। পাশাপাশি সমাধানের বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুশীলন করতে হবে।
৩। ছোট-মাঝারী অঙ্কগুলোও যত সংক্ষিপ্ত আকারে সমাধান করা যায় ততই ভালো। গণিতে ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন ও সূত্র মনে রাখার কোন বিকল্প নাই।
৪। অঙ্কের সমাধান করার ক্ষেত্রে সূত্র ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে।
৫। ক্যালকুলাসের সূত্র থেকেই সম্ভাব্য উত্তর বের করা যায়। তাই সূত্র মনে রাখার বিকল্প নাই।
জীববিজ্ঞানঃ১। জীববিজ্ঞানে প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র থেকে সাধারণত সমানসংখ্যক প্রশ্ন থাকে। এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ হয়। প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে বলে কোনো কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না।
২। বৈজ্ঞানিক নাম, বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিন্যাস বেশি বেশি পড়তে হবে। কারণ এই দিকটা না পারলে আন্দাজ করে কিছুই পারা যায় না। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বইয়ের পড়াই যথেষ্ট।
৩। জীববিজ্ঞানের জন্য বিগত বছরের প্রশ্ন সব ব্যাখা সহ মুখস্ত করতে হবে। কারণ জীববিজ্ঞানে প্রশ্ন রিপিট হতে দেখা যায়। আর যদিও এখন প্রশ্নের ধরন ভিন্ন হবে, তারপরও পুরোনো প্রশ্ন দেখলে কোন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন আসে সে ব্যাপারে ধারণা তৈরি হবে।
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ অংশের জন্য দেশের ভূ-প্রকৃতি, আয়তন, শিক্ষা, অর্থনীতি, সমাজ, রাজনীতি, উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ও স্থপতির নাম, প্রশাসনিক কাঠামো, চলচ্চিত্র, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, খেলাধুলা, আবহাওয়া, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতি বিষয় জানতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ের জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা, স্থাপনা, স্থাপত্য, স্থপতি, নোবেল পুরস্কার, বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রাজধানী, মুদ্রা, ভাষা, বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার যেমন অস্কার, পুলিৎজার, বুকার, ম্যাগসেসে, বিশ্বের উচ্চতম, দীর্ঘতম, ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম বিষয়সমূহ, আন্তর্জাতিক চুক্তি, বিশ্বের নামকরা নগর, বন্দর, ব্যয়বহুল শহর ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় পড়তে হবে।
আর আমার মতে বেসিক নলেজ, কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা ও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করা যায়। বেসিক নলেজ যা তোমরা আগে থেকে নিয়ে এসেছ।
কঠোর পরিশ্রম যা তোমাদের এই তিন মাস করতে হবে। সর্বশেষ হচ্ছে তোমার ভাগ্য। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি ভালো করার জন্য এই তিনটি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা
ব্যাকরণ অংশের জন্য ভাষা, বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ, শব্দ, কারক, সমাস, সন্ধি, বিভক্তি, বচন, বাক্য সংকোচন, বাগধারা, উপসর্গ, অনুসর্গ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। আগের বছরের প্রশ্নগুলো বাংলাতে রিপিটেশন হয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের আগের বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
ইংরেজি
Parts of speech, Article, Tense, Voice, Narration, Correction, Right form of verbs, Translation, Synonyms, Antonyms, Transformation of sentences, Joining sentence, Comprehension প্রভৃতি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে। অর্থাৎ গ্রামার ভালোভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি ইংরেজ কবি ও সাহিত্যিক, বিশেষ করে যাদের লেখা এইচএসসির সিলেবাসে রয়েছে তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম, লেখার বিষয়, উদ্ধৃতি ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ও মনে রাখতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞানঃ১। পদার্থবিজ্ঞানে গাণিতিক সমস্যার সাথে সাথে কিছু তাত্ত্বিক প্রশ্নও আসে। তবে গাণিতিক প্রশ্ন সংখ্যায় বেশি আসে বলে এই ভাগে আলাদা নজর দিতে হবে।২। গাণিতিক প্রশ্নের সমাধানের জন্য প্রতিটি সূত্র এমনভাবে পড়তে হবে, যাতে পরীক্ষার হলে আর চিন্তা করে বের করতে না হয়। কারণ সূত্র চিন্তা করে বের করার কোন সময় নাই।৩। পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ নেই। তাই পদার্থবিজ্ঞানের যে ক্যালকুলেশন গুলো আমরা সচারচর হাতে করতে অভ্যস্ত নই, এমন কিছু ক্যালকুলেশন হাতে করার প্র্যাকটিস করতে হবে।৪। প্রশ্নের গাণিতিক সমস্যা ভালোভাবে পড়ে বুঝতে হবে যে, কি বের করতে বলা হইছে। তখন সেটা বের করার সম্ভাব্য সূত্রগুলোর সাথে প্রদত্ত উপাত্তের রাশিগুলো মিলিয়ে সেই সঠিক সূত্রটা লিখে ফেলতে হবে। এরপর সূত্রের মধ্যে কোন রাশি অজানা থাকলে, সেগুলোও একই নিয়মে বের করতে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে করলে প্যাচ কম লাগবে।
রসায়নঃ১। রসায়নে গাণিতিক ও তাত্ত্বিক প্রশ্ন প্রায় সমানুপাতিক হারে আসে। গাণিতিক অংশে ভালো করার জন্য বিভিন্ন একক ও সংকেত ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। কারণ একক কিংবা সংকেত থেকেও অনেক প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে বের করা যায়।
২। তাত্ত্বিক অংশের জন্য যোজনী, বিক্রিয়া, ভর, তুল্য সংখ্যা, সংকেতসহ সব অধ্যায় মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নাম সহ বুঝে পড়তে হবে।
৩। রসায়নের ক্ষেত্রে ভুল উত্তর ও সঠিক উত্তরের মধ্যে পার্থক্য খুব কম থাকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে উত্তর করার সময়।
গণিতঃ১। ক্যালকুলেটর না থাকায় অনেকের গণিত করতে একটু সমস্যা হবে। এতে লাভও হয়েছে। কারণ জটিল গাণিতিক সমস্যা আসার সম্ভাবনাও কমে গেছে। অর্থাৎ মৌলিক ও টেকনিক্যাল অংকগুলো বেশি আসে।
২। আর সাধারণ নামতা ভুলে গেলে চলবে না। পাশাপাশি সমাধানের বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুশীলন করতে হবে।
৩। ছোট-মাঝারী অঙ্কগুলোও যত সংক্ষিপ্ত আকারে সমাধান করা যায় ততই ভালো। গণিতে ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন ও সূত্র মনে রাখার কোন বিকল্প নাই।
৪। অঙ্কের সমাধান করার ক্ষেত্রে সূত্র ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে।
৫। ক্যালকুলাসের সূত্র থেকেই সম্ভাব্য উত্তর বের করা যায়। তাই সূত্র মনে রাখার বিকল্প নাই।
জীববিজ্ঞানঃ১। জীববিজ্ঞানে প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র থেকে সাধারণত সমানসংখ্যক প্রশ্ন থাকে। এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ হয়। প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে বলে কোনো কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না।
২। বৈজ্ঞানিক নাম, বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিন্যাস বেশি বেশি পড়তে হবে। কারণ এই দিকটা না পারলে আন্দাজ করে কিছুই পারা যায় না। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বইয়ের পড়াই যথেষ্ট।
৩। জীববিজ্ঞানের জন্য বিগত বছরের প্রশ্ন সব ব্যাখা সহ মুখস্ত করতে হবে। কারণ জীববিজ্ঞানে প্রশ্ন রিপিট হতে দেখা যায়। আর যদিও এখন প্রশ্নের ধরন ভিন্ন হবে, তারপরও পুরোনো প্রশ্ন দেখলে কোন কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন আসে সে ব্যাপারে ধারণা তৈরি হবে।
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ অংশের জন্য দেশের ভূ-প্রকৃতি, আয়তন, শিক্ষা, অর্থনীতি, সমাজ, রাজনীতি, উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ও স্থপতির নাম, প্রশাসনিক কাঠামো, চলচ্চিত্র, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, খেলাধুলা, আবহাওয়া, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতি বিষয় জানতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ের জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা, স্থাপনা, স্থাপত্য, স্থপতি, নোবেল পুরস্কার, বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রাজধানী, মুদ্রা, ভাষা, বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার যেমন অস্কার, পুলিৎজার, বুকার, ম্যাগসেসে, বিশ্বের উচ্চতম, দীর্ঘতম, ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম বিষয়সমূহ, আন্তর্জাতিক চুক্তি, বিশ্বের নামকরা নগর, বন্দর, ব্যয়বহুল শহর ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় পড়তে হবে।