কঠোর নিরাপত্তা ও নজরদারির মধ্যে শুক্রবার সকালে রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সরকারি ২০টি কলেজের ৩৪টি কেন্দ্রের কোথাও থেকে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো সময় ফলাফল প্রকাশিত হবে।
পরীক্ষা শেষ হওযার পর পর এমবিবিএস ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা.মো.আবদুর রশীদ এ সব তথ্য জানান।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৮৫৬ জন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের শতাধিক সদস্যের সমন্বয়ে পরিদর্শক টিম ছাড়াও বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত ওভারসাইট কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের প্রধানরা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই উত্তরপত্র অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশী প্রহরায় স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো শুরু করেন। উত্তরপত্র ও এমআর মেশিনের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর বের করা হবে।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গোায়েন্দা পুলিশ কয়েকজন যুবককে আটক করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা.আবদুর রশীদ বলেন, ডিবি পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত এ মুহূর্তে বলতে পারছেন না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট ৮২ হাজার ৮৫৬ পরীক্ষার্থী শুক্রবার ২০টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৩৪টি ভেন্যুতে এক হাজারের বেশি হলে পরীক্ষা দেয়ার কথা। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নয় হাজার ৯৯৯ জন, স্যার সলিমুল্লাহ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও ময়মনসিংহে সাত হাজার করে, চট্টগ্রামে ছয় হাজার ৭৬ জন, রাজশাহীতে ছয় হাজার ১৪৪, সিলেট এম এ জি ওসমানিতে দুই হাজার ৮১৮, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে এক হাজার ৭৬০, রংপুরে চার হাজার ৮১১, কুমিল্লায় চার হাজার ৬৫, খুলনায় সাড়ে তিন হাজার, বগুড়ায় তিন হাজার ৬৩৩, ফরিদপুরে এক হাজার ৫২৮, দিনাজপুরে এক হাজার ৩৩৭, পাবনায় এক হাজার ৪৯৯, কিশোরগঞ্জে ৮১৯, গোপালগঞ্জে ৮৬৮, গাজীপুরে দুই হাজার, মুগদায় পাঁচ হাজার ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ছয় হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন।