চলমান একটি আলোচিত বিষয় "সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা"। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পত্রিকায় বলা হয়েছে এবছর থেকেই শুরু হবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা,কিন্তু এখন পর্যন্ত অফিশিয়াল ভাবে এ বিষয়ে কোন কিছুই জানায় নি প্রশাসন। কিন্তু এই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ফেইসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। কিন্তু "সমন্বিত" বিষয়টি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে সৃষ্টি হতে পারে অনেক অসুবিধা। এমন কিছু অসুবিধা নিয়ে আজকের এই লেখা।
২. আরো বেশি প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাবনাঃ
বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয় না সচরাচর। একটি ইউনিটের প্রশ ফাঁস হলেও অন্য ইউনিটে তেমন প্রভাব পরে না,অন্য বিশ্ববিদ্যালয় তো দূরের কথা। কিন্তু সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হলে যদি একটা প্রশ্ন ফাঁস হয় তাহলে তা পুরো বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন আউট হয়ে গেল। এক্ষেত্রে বলা যায়, প্রশ্ন আউট হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯% ।
২. স্বপ্ন বিনাশের কারিগর হতে পারে "সমন্বিত পরীক্ষা"
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা চল্লিশ এর কোটায়।একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স নাহলেও অন্য একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকে।তাই এক ধাক্কায় শেষ হয়ে যায় না স্বপ্ন। কিন্তু সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হলে এ সুযোগ থাকবে না,এক ঘন্টাই স্বপ্ন বিনাশ করার জন্য যথেষ্ট।
৩. ভর্তি দুর্নীতি পৌঁছাবে চরম মাত্রায়ঃ
ভর্তি জালিয়াতির নেপথ্যে এখনো সক্রিয় রয়েছে একাধিক চক্র। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে পুরো বাংলাদেশে আরো সক্রিয় হবে একাধিক "জালিয়াত চক্র"। টাকার বিনিময়ে হবে অসাধু এই ব্যবসা।
লেখাঃ
সোহানুর শুভ,
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর