শহরে মধ্যেভিত্ত পরিবার এর এর মেয়ে তাফসিয়া। প্রথম বার ঢাবিতে, জবি, জাবিতে পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু চান্স হয় নাই। সর্বোচ্চ ওয়েটিং লিস্টে ছিল। তাই যখন চান্স হয় নাই একরাশ হতাশা শুরু হল। পরিচিত সব বান্ধবীদের পাবলিকে চান্স হয়েছে কিন্তু তাফসিয়ার হলও না, এই তরুণ বয়সে এমন একটা চাপ আসল যা আগে কখনও ফেইস করতে হয় নাই, চারদিকে পৃথিবী তার কাছে যেন কঠিন মনে হতে শুরু হলও। এমন সময় ভাল বান্ধবী টা তার কাছে থেকে দূরে সরে গেল, এমনকি পরিবার এর মানুষ এর কাছেও খোচা মারা কথা শুনতে হলও চান্স না পাওয়ার জন্য। তাফসিয়া মনে মনে চিন্তা করল কিছু একটা করতে হবে, এই সকল নিন্দুকদের একটা জবাব দেওয়া চাই। তাই সেকেন্ড টাইম এর প্রিপারেশন নিতে শুরু করল। ঢাবি, জবি, রাবি, চবি বন্ধ হয়েছে ত কি হয়েছে জাবি ত আছে, আর যেহেতু সেকেন্ড টাইম দিবে তাহলে ঢাকার বাহিরেও পরীক্ষা দেওয়া যায়। তাই তাফসিয়া একরাশ কস্ট মনের মধ্যে ধারন করে প্রিপারেশন শুরু করে দিলে, প্রথম বার কোচিং করলেও ভাবল এবার আর কোচিং না করলেও চলবে। আগের বছর জাতীয় তেও ভর্তি হয় নাই। তাই এবার এর আশা টা বেশি যেভাবেই হোক চান্স ত তার পেতেই হবে । প্রিপারেশন ভালই নিচ্ছে তাফসিয়া, তবে মাঝে ভাবনা আশা আমি কি সত্যিই চান্স পাব, এমন ভাবনায় সব কিছু এলোমেলো করে আবারও হতাশায় পড়ে যায় এই তরুণী। কিন্তু চিন্তা করল এভাবে হতাশ হলে শুধু লস ই হচ্ছে পড়াশোনা হচ্ছে না, তাই ডিটারমাইনড করল আর হতাশ হবার না, এখন সব কিছুই পজিটিভ নিবে। তাই একনিষ্ঠ ভাবে পড়াশোনা শুরু করে দিল সে, তার পরীক্ষার আর 80 দিন এর মত বাকি। দেখা যাক তাফসিয়া সফল হতে পারে কিনা।।
(কাল্পনিক হলেও এমন সব গল্প গুলো তৈরি করছ তোমরা সেকেন্ড টাইমার রা, এমন হাজারও তাফসিয়া আজ কথিত ভর্তি যুদ্ধ যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সকল কস্ট উপেক্ষা করে )
সফল তোমরা হবেই,!!!
"সাজু আহমেদ সাজ"
বিবিএ,হাবিপ্রবি
